যে বার্তা দিল বিএনপি, এক আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

 

মোঃ ফেরদৌসকিবরিয়া (নয়ন) সম্পাদক ও প্রকাশক :- 

এক আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছে বিএনপির। এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব কাজ করছে। এই দ্বন্দ্ব যেন দলীয় কর্মসূচিতে প্রভাব না ফেলে এবং ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলে সেজন্য উদ্যোগ নিচ্ছে বিএনপি। দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং নিরসনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাংগঠনিক সভায় এই কর্মসূচির রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে নেতারা উসকানিমূলক বা আক্রমণাত্মক রাজনৈতিক বক্তব্যগুলোকে আমলে না নেওয়ার পরামর্শও দেন।
সভায় কর্মসূচির রূপরেখার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়, প্রতিটি আসনে একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে যেন কোনো দ্বন্দ্ব বা গ্রুপিং না হয়।
 মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ঐক্যবদ্ধভাবে একই প্ল্যাটফর্ম থেকে দলের কর্মসূচি সফল করবেন। তা না হলে কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই সভায় বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বড় দল হিসাবে একেকটি আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা রয়েছেন। কিছু কিছু এলাকায় এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বও আছে। এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এতে বলা হয়, আসনভিত্তিক পদযাত্রা কর্মসূচিসহ সামনের দিনে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হবে তা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সফল করবে। সেক্ষেত্রে দলে কোনো গ্রুপিং নেই-এই প্রত্যয়ে একসঙ্গে কাজ করবে। প্রস্তাবগুলো নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে আবারও সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠক করার কথা রয়েছে। 
সেই বৈঠকে কর্মসূচিকে সুনির্দিষ্ট করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেওয়া হবে। পরে তা দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক যুগান্তরকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে চায় না বিএনপি। এজন্যই সরকারকে সব ধরণের সহযোগিতা করে আসছে, সামনেও করবে। কিন্তু দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে অবনতি হচ্ছে। 
এ সুযোগে কেউ কেউ দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। সেক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যকর ভূমিকাও দেখা যাচ্ছেন না। বিএনপি একটি দায়িত্বশীল দল হিসাবে তা হতে দিতে পারে না। এজন্য তিন মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রায় তিন মাসব্যাপী একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ফের রাজপথে সক্রিয় হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দ্রুত সংস্কার, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের দেওয়া যথাসময়ে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদসহ নানা দাবিতে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে দলটি। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলটি রোডমার্চ, বিভাগীয় সমাবেশ এবং আসনভিত্তিক পদযাত্রার মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

দৈনিক সময়ের পত্রিকা

মাদরাসায়ও চালু হচ্ছে মেধাবৃত্তি, ৫ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা ডিসেম্বরে

  নিজস্ব প্রতিবেদক  :-  এবার দেশের সব ইবতেদায়ি মাদরাসায় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন মাদরাসাগুলোর পঞ্চম শ্রেণিত...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.