নীলফামারীর ডিমলায় হিমাগার না থাকায় ক্ষেত থেকে তুলছেন না আলু

মোঃ ফেরদৌসকিবরিয়া (নয়ন) সম্পাদক ও প্রকাশক :-

নীলফামারীর ডিমলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনো হিমাগার না থাকায় ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন না কৃষক। দাম কম,হিমাগার নেই,। ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে আলু। ফলে আলু নিয়ে চরম বিপাকে চাষিরা। হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে কয়েক হাজার মণ আলু। হিমাগার নির্মাণ হলে কৃষকদের জন্য সুবিধা হবে আলু সংরক্ষণে। এতে মধ্যস্বত্ত¡ভোগীদের দৌরাক্ত কমবে। ফলে ভাল দাম পাবেন আলু চাষীরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,জেলায় ১১ টি হিমাগার রয়েছে। যার ধারণক্ষমতা ৮২ হাজার ২৫০ টন। জেলায় এ বছর কৃষকদের আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৫ হাজার ৭৭০ টন। আলু চাষ হয়েছে ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ডিমলা উপজেলায় চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। তবে সে উপজেলায় হিমাগার নেই।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলুর ফলন ভালো হলেও এখন সংরক্ষণের অভাবে ক্ষেতেই কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু। হিমাগার না থাকায় সংরক্ষনের অভাবে অনেকে আলু তুলছেন না ক্ষেত থেকে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কয়েক হাজার মণ আলু।

উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের আলুচাষি বাবুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,গত বছর ১০ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করে ফলন পেয়েছিলেন ৬২০ মন। ডিমলা উপজেলায় হিমাগার না থাকায় আলু সংরক্ষণে অভাবে কম দরে আলু বিক্রি করেছি। কিছু পাশের উপজেলায় হিমাগারে রেখেছি। ফলে পরিবহন ও শ্রমিকের খরচ দিয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে।

নাউতারা ইউনিয়নের আলু চাষী মিলন মিয়া বলেন, বাজারে আলুর দামের পরিস্থিতি খারাপ। জমিতে যে আলু রয়েছে, সেগুলো উঠাইনি। আলু উঠালে খরচের টাকা উঠবে না।এখন বিক্রি করলে লাভবান হবেন মধ্যস্বত্তভোগীরা। আবার সংরক্ষণও করতে পারছি না। হিমাগার না থাকায় আলু চাষ করে সংকটে পড়েছি। জেলায় যেসব হিমাগার রয়েছে সেখানে রশিদ পাওয়া যায় না।আলু নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই।জরুরী এ উপজেলায় হিমাগার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, এ উপজেলায় প্রতি বছরই আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তবে সংরক্ষণের অভাবে বিপুল পরিমাণ আলু প্রতি বছরই নষ্ট হয়ে যায়। এবারো একই পরিস্থিতি।

Post a Comment

দৈনিক নতুন সময়ের পত্রিকা

নবীনতর পূর্বতন