মোঃ ফেরদৌসকিবরিয়া (নয়ন) নিলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. আব্দুল হাকিম বলেন, "আমাদের রোপা আমনের ধান কাদা ও পলির নিচে তলিয়ে গেছে। বছরের পর বছর সঞ্চিত টাকা এই বন্যায় হারিয়ে যাচ্ছে। সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আমরা দুঃসময়ে পড়ব।"
স্থানীয় কৃষক হযরত আলী বলেন, "বন্যার ফলে আমাদের জমি অনেকাংশে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এক বছরের পরিশ্রম মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল। সরকারি সহায়তা ছাড়া আমাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।"
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষি জমি ও বসতভিটা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশা চাপানি ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত না।" হয়েছে। বন্যার পানিতে কৃষকের বীজতলা, সবজি বাগান, মাছের পুকুর ও আমন ধানের ক্ষেতসহ প্রায় ৫ হাজার বিঘা আবাদি জমি তলিয়ে গেছে।
কৃষক আব্দুর রহিম জানান, "শাখা নদীর হঠাৎ পরিবর্তন ও বন্যায় শতাধিক বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আমরা কষ্ট করে জীবন চালাই, এখন এই ক্ষতি আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। সরকার থেকে সাহায্য ও পুনর্বাসন চাই।"
কৃষক সুবল সাহা জানান, "আমাদের পরিবারের জীবিকা ধান-চালের ওপর নির্ভরশীল। ফসল নষ্ট হলে আগামী মৌসুমে কিভাবে চলব, বুঝে উঠতে পারছি
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) মীর হাসান আল বান্না বলেন, "আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে আছি। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
দৈনিক নতুন সময়ের পত্রিকা