এমন নিস্তব্ধ সকাল কখনোই ছিল না, মাইলস্টোনে
মোঃ ফেরদৌসকিবরিয়া (নয়ন) সম্পাদক ও প্রকাশক :-
সকালবেলা। এই সময়ে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গেটে থাকতো প্রাণচাঞ্চল্য, মুখর হতো ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায়। বাবা-মায়ের হাতে হাত রেখে স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে প্রিয় শিক্ষালয়ে প্রবেশ করতো কোমলমতি শিশুরা। কারও মুখে টিফিনের গল্প, কেউ বা হোমওয়ার্ক শেষ না হওয়ার চিন্তায় মগ্ন। অথচ আজ—সেই গেটেই নেমে এসেছে এক ভয়ানক নিস্তব্ধতা, নেই কোলাহল। গেট জুড়ে উৎসুক মানুষের ভিড় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে সশরীরে গিয়ে দেখা যায়, মাইলস্টোন স্কুলের গেট যেন এক শ্মশানে রূপ নিয়েছে। নেই সেই চিরচেনা মুখ, নেই মায়ের আদুরে সন্তানের হাতে টিফিনবক্স ধরিয়ে দেওয়ার দৃশ্য। বিদ্যালয়ের গেটের সামনে জমেছে শোকাহত মানুষের ভিড়। চোখেমুখে বিষাদের ছায়া। কারণ একটাই—স্কুল ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অকালে ঝরে গেছে একাধিক প্রাণ। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে শতাধিক ফুলের কলি, যাদের আজ স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল।
হাসপাতালের বিছানায় বেঁচে থাকার লড়াই এবং মা-বাবার কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে আশপাশ।
যে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রতিদিন বেজে উঠত শিশুকণ্ঠের কলরব, সেখানে আজ শুধুই কান্নার আওয়াজ। উৎসবমুখর যে প্রাঙ্গণ, আজ সেখানে শুধুই নিস্তব্ধতা।
বিদ্যালয়টির আশপাশের দোকানপাট, যেখানে প্রতিদিন ব্যস্ততা লেগে থাকতো, আজ সেগুলোও বন্ধ অথবা প্রায় ফাঁকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন নীরবতা তারা এই এলাকায় কখনো দেখেননি।
এমনই একজন নিজাম উদ্দিন বলছিলেন, ‘আজ যে শিশুর স্কুলে আসার কথা ছিল, সে আসতে পারিনি। দুর্ভাগ্য সে আজকে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, কেউ হয়তো পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। যার কথা ছিল মায়ের হাত ধরে স্কুলে ফিরবে টিফিন খাবে, বন্ধুদের সঙ্গে খেলবে কিন্তু সে আজ হাসপাতালের বিছানায়। এরকম একটা দিন দেখতে হবে আমরা কখনো ভাবিনি। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকছি কিন্তু এরকম সকাল এই প্রথম দেখলাম।’
নিজাম উদ্দিন বললেন, প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ, আবার কেউ আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। যাদের স্বপ্ন ছিল, সামনের পরীক্ষায় ভালো করবে, নতুন ক্লাসে উঠবে
এমনই একজন নিজাম উদ্দিন বলছিলেন, ‘আজ যে শিশুর স্কুলে আসার কথা ছিল, সে আসতে পারিনি। দুর্ভাগ্য সে আজকে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, কেউ হয়তো পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। যার কথা ছিল মায়ের হাত ধরে স্কুলে ফিরবে টিফিন খাবে, বন্ধুদের সঙ্গে খেলবে কিন্তু সে আজ হাসপাতালের বিছানায়। এরকম একটা দিন দেখতে হবে আমরা কখনো ভাবিনি। এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকছি কিন্তু এরকম সকাল এই প্রথম দেখলাম।’
নিজাম উদ্দিন বললেন, প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ, আবার কেউ আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। যাদের স্বপ্ন ছিল, সামনের পরীক্ষায় ভালো করবে, নতুন ক্লাসে উঠবে
কোন মন্তব্য নেই
দৈনিক সময়ের পত্রিকা