নীলফামারীর ডিমলায় সাড়ে চার বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রহিদুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। আটকের পর শিশুটির পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী থানায় খবর দিলেও ঘটনা স্থলে না যাওয়ায় পরবর্তীতে সহকারী পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৪ ঘন্টা পরে ডিমলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ন্যাক্কার জনক ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের উপর ক্ষুদ্ধ ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী। জানা যায় গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের নিজ পাড়া (ভাটিয়া পাড়া) নামক গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ওই গ্রামের রাজা মিয়ার সাড়ে চার বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুকন্যাকে একই গ্রামের মৃত তফেল উদ্দিনের ছেলে রহিদুল ইসলাম চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় শিশুটির মা, শাহনাজ পারভীন, ঘটনাটি দেখে চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে অভিযুক্ত রহিদুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
এই ঘটনাটি শিশুটির পরিবারের লোকজন প্রথমে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কলের মাধ্যমে ডিমলা থানায় খবর দিলে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ভিকটিম শিশুকে নিয়ে থানায় যেতে বলেন নিরুপায় হয়ে শিশুটিকে নিয়ে বাবা রাজা মিয়া মা শাহনাজ পাভীন থানায় গেলে থানার ওসি ফজলে এলাহী আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার কথা বলে থানা থেকে বিদায় দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি সহকারী পুলিশ সুপার মো. নিয়াজ মেহেদীকে জানালে ৪ চার ঘন্টা পর ডিমলা থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থানে গিয়ে আইনগত ব্যাবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত রহিদুলকে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেন।
ভিকটিম শিশুর মা শাহনাজ পারভীন, অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে। পুলিশকে খবর দিলেও ঘটনা স্থলে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সহকারী পুলিশ সুপার স্যারকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানালে তখন
পুলিশ বাধ্য হয়ে এখানে আসে। এসেই আটক অভিযুক্তকে রহিদুলকে ছেড়ে দেন। ঐ গ্রামের হযরত আলী বলেন, আমরা নিজের চোখে ঘটনা দেখেছি, এই এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্য রহিদুলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া উচিত ছিল। পুলিশ এত বড় ঘটনা কে কাল্পনিক ও মিথ্যে সাজিয়ে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ঘটনার সময় হাতে নাতে আটক রহিদুল কে ছেড়ে দেয়।
ভিকটিমের পিতা রাজা মিয়া অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তর আত্মীয়-স্বজন আগেই থানা গিয়ে ডিমলা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করে ম্যানেজ করে নিয়েছে । সে কারনে ওসি সাহেব প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে কাল্পনিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ দেখিয়ে অভিযুক্ত রহিদুল কে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন এই গ্রামে আমার বসবাস করে থাকাই মুশকিল হবে। আমি এই ঘটনার সুস্থ্য বিচার চাই। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার এস আই, মো. আবুল কালাম জানান, ওসি স্যার আমাকে যে নির্দেশনা দিয়ে ঘটনা স্থলে পাঠিয়েছে আমি ঘটনাস্থলী গিয়ে সেটাই করেছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
দৈনিক নতুন সময়ের পত্রিকা