মোঃ ফেরদৌসকিবরিয়া (নয়ন) সম্পাদক ও প্রকাশক :-
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণের কারণে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রবিবার থেকে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বোক্তারপাড়া গ্রামে নদীর পানি উপচে পড়ে গ্রাম এলাকায় প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ৩০টি পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাধের ওপরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় এসব পরিবার এখন চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা রহিমা, হাসিনুরা, সাগর, সুমন বাবু, নজরুল ইসলাম, আবুল কালাম, মকলেছার ও বাবুলসহ অনেকে জানান- হঠাৎ নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতের অন্ধকারেই তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদিপশু ও সন্তানদের নিয়ে বাঁধের ওপরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের উজানের পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ সীমান্ত এলাকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিওপি ক্যাম্প ও জিরো পয়েন্ট বাঁধে পানি ছুই ছুই অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় এই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা আমির ও (ডোমার-ডিমলা) নীলফামারী-১ আসনের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার এবং ডিমলা উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমান।
তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনগণ ও কর্মীদের নিয়ে বাঁধ রক্ষায় জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডিমলা উপজেলা শাখার প্রায় ৫০০ জন নেতা-কর্মী বস্তায় বালু ভরে বাঁধ শক্ত করার কাজে অংশ নেন। তারা দিনরাত এক করে নদীর তীর মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে ভাঙন ঠেকিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষা করা যায়।
অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন,
তিস্তা তীরবর্তী মানুষের কষ্ট আমাদের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে বাঁধ রক্ষায় কাজ করছি। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও আহ্বান জানাচ্ছি-দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য, যাতে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো যায়।"
উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমান বলেন,
এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও অব্যাহত বর্ষণের কার পশ্চিম ছাতনাই নয়, পাশের পূর্ব ছাতনাই ইউ কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বাঁধেও ভাঙনের আশর দিয়েছে। ওই এলাকায়ও নদীর পানি বাধের ওপে প্রবাহিত হচ্ছে, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে আত করেছে।
বর্তমানে বাঁধের ওপারে শতাধিক পরিবার তাদের গব খাদ্যসামগ্রী ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে অবস্থান খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছেন। শিশুরা।
এলাকাবাসী জানান, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে দীর্ঘ উদ্যোগ না নিলে প্রতিবছর একই দুর্ভোগ পোহাতে তারা সরকারের কাছে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণে জানিয়েছেন।
সংস্কার কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ডিমলা উপজেলা অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমান, ইউনিয়নের পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ।
শেষে উপস্থিত সবাই তিস্তা তীরবর্তী মানুষের নিরা কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন আল্লাহ, আপনি তিস্তা এলাকার মানুষদের হেফাজত আমিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
দৈনিক নতুন সময়ের পত্রিকা