ডিমলায় হিমাগার না থাকায় নষ্ট হচ্ছে আলু
কৃষকেরা বলছেন, হিমাগার নির্মাণ হলে কৃষকদের জন্য সুবিধা হবে আলু সংরক্ষণে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে। ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন আলুচাষিরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় মোট উৎপাদনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ আলু সংরক্ষণ করার মতো হিমাগার রয়েছে।
জামিনুর জানান, হিমাগারে আলু সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রশিদ নিতে হয়। নির্ধারিত সময়ে আলু না রাখতে পারলে আর সম্ভব হয় না হিমাগারে রাখা। ফলে পরতে হয় লোকসানে। এতে কম দামে আলু কেনায় লাভবান হন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
সুন্দরগাতা গ্রামের আলুচাষি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাজারে আলুর দামের পরিস্থিতি খারাপ। জমিতে যে আলু রয়েছে, সেগুলো ওঠাইনি। আলু ওঠালে খরচের টাকা উঠবে না। এখন পাইকারেও বিক্রি করতে পারছি না। আবার সংরক্ষণও করতে পারছি না। হিমাগার না থাকায় আলু চাষ করে সংকটে পড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি। কীভাবে ঋণ শোধ করব তা জানা নেই।’
কৃষকদের অভিযোগ, চলতি মৌসুমে আগাম জাতের বীজ আলু বগুড়া থেকে তাঁদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলনও ভালো, তবে বাজারে দাম নেই। এখন তো আলু বেচতে পারছেন না। জেলায় যেসব হিমাগার রয়েছে সেখানে রশিদ পাওয়া যায় না।
তাঁদের দাবি, সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা না থাকায় আলু নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাঁদের। এই উপজেলার মধ্যে একটি সরকারি বা বেসরকারি হিমাগার থাকলে এ সমস্যা পোহাতে হতো না। আলু সংরক্ষণ করতে পারতাম।
কোন মন্তব্য নেই
দৈনিক সময়ের পত্রিকা